রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১

Idioms and Phrases


1.
To make clean breast of
[A]. To gain prominence
[B]. To praise oneself
[C].
To confess without of reserve

[D]. To destroy before it blooms
[E]. None of these

Answer: Option C
It actually means: to confess,here breast has connotation towards Heart.disclose smth from yr heart.
2.
To keeps one's temper
[A]. To become hungry [B].
To be in good mood

[C]. To preserve ones energy [D]. To be aloof from
[E]. None of these



Answer: Option B

3.
To catch a tarter
[A]. To trap wanted criminal with great difficulty
[B].
To catch a dangerous person

[C]. To meet with disaster
[D]. To deal with a person who is more than one's match
[E]. None of these

Tarter means something having a taste of sour.

4.
To drive home

[A]. To find one's roots [B]. To return to place of rest
[C]. Back to original position [D].
To emphasis

[E]. None of these

Answer: Option D

Explanation:


The idiomatic expression 'drive home' means 'reinforce' as in 'The company offered unlimited technical support as a way to drive home the message that customer satisfaction was its highest priority.'

emphasise - to stress, single out as important


Drive home - make clear by special emphasis and try to convince somebody of something; "drive home a point or an argument"; "I'm trying to drive home these basic ideas".







"আল্লাহু আকবার

"আল্লাহু আকবার" শুনার পরও যখন আপনি ফেসবুক বন্ধ করে নামাযে গেলেননা,তার মানে আপনি বলতে চাইছেন "আল্লাহু আকবার" নয় বরং 'ফেসবুক আকবার'।
"আল্লাহু আকবার" শুনার পরও যখন আপনি মুভি দেখা বন্ধ করলেননা,তারমানে আপনি বলতে চাইছেন "আল্লাহু আকবার" নয় বরং 'মুভি আকবার'।
"আল্লাহু আকবার" শুনার পরও যখন আপনি কাজ বন্ধ করেছেন না,বস কি বলবে এই ভয়ে,তার মানে আপনি বলতে চাইছেন "আল্লাহু আকবার" নয় বরং 'বসই আকবার'।
.............................................
.......................................
.......................................
.......................................
ও মুসলমান শুধুমাত্র একজনের শ্রেষ্টত্ব মেনে নাও ও ঘোষনা কর,
নচেৎ হাজার জিনিসের,হাজার জনের শ্রেষ্টত্ব তোমাকে মেনে নিতে হবে।‎

'বান্দা যখন আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তখন তার দিকে এক হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক কায়া পরিমাণ এগিয়ে যাই। আর সে যখন আমার দিকে হেটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।' (বর্ণনায় : বুখারী)

বিবাহ নিয়ে সংহ্মিপ্ত কিছু তথ্য

বিবাহ নিয়ে সংহ্মিপ্ত কিছু তথ্য (ভেবে দেখুন সবাই):

“হযরত আনাস রা. থেকেব বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে যেন তার অর্ধেক ঈমানকে পূর্ণ করে ফেললো। এখন বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” (মিশকাত শরীফ: হাদীস নং ৩০৯৭)
তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে এবং তার থেকে বানিয়েছেন তার সঙ্গিনীকে, যাতে সে তার নিকট প্রশান্তি লাভ করে।” (সূরা আরাফ, আয়াত ১৮৯)

আমাদের... আজকের সমাজের একটি দু:খজনক বাস্তবতা হলো:
আমরা বিবাহকে নানাবিধ অহেতুক খরচের বেড়াজালে বন্দী করে তাকে একটি বিভীষিকাময় কর্মযজ্ঞে পরিণত করেছে। এখন বিয়ের নাম নিতে গেলেই আগে লাখ লাখ টাকার বান্ডিল হাতে রাখতে হবে। যার কারণে লক্ষ লক্ষ যুবক আজ বিবাহের নাম নিতেও ভয় পায়। এভাবে অনৈসলামিক আর অপসাংস্কৃতিক কালচার আমাদের যুব সমাজকে বিবাহের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে। ইসলাম যেখানে বালেগ হওয়া এবং নুন্যতম আর্থিক সঙ্গতি থাকলে বিবাহের অনুমতি দিয়েছে সেখানে আমাদের সমাজ এখন বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য ২০ বছর এবং ছেলেদের জন্য ক্যারিয়ার গঠন নামক শর্তের বেড়াজালে ৩০/৩৫ বছরের অলিখিত শর্তারোপ করে করেছে। কিছুদিন যাবত টেলিভিশনে প্রচারিত একটি কোম্পানীর বিজ্ঞাপনও এই থিউরী সম্প্রচার করছে। বলা হচ্ছে, বিবাহে তো অনেক খরচ, তার চেয়ে বড় মোবাইল কিনে প্রেম করেন, আর ফাও টাকা ওড়ান।
অথচ এর বহু আগেই ছেলে মেয়ে বালেগ ও প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায়। আমাদের বর্তমান সমাজে একটি তরুণ-তরুণীর সামনে অন্যায়-অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়ার সকল উপায়-উপকরণ খুবই সহজলভ্য। কিন্তু বিবাহ দুরূহ। যার কারণে যিনা-ব্যভিচারের বিস্তৃতি ঘটছে। পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে আমাদের রাষ্ট্র ও বহুজাতিক কোম্পানী গুলো অব্যাহত প্রচেষ্টায় এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছে, যেখানে যুবক-যুবতীদের বিবাহ বহির্ভুত প্রেম-ভালোবাসা আর যিনা-ব্যভিচার খুব সহজ একটা বিষয় হয়ে গেছে। কিন্তু ধর্ম ও সমাজ স্বীকৃত বৈধ বিবাহকে দেয়া হয়েছে নির্বাসন। তাই দিন যত যাচ্ছে, যিনা-ব্যাভিচার, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন ততই বেড়ে চলছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিবাহকে সহজ ও সাবলীল করার বিকল্প নেই।

হাদীস-কুরআন

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন,:
“যখন তোমাদের কেউ দেখতে চায় যে, চেহারা ও সম্পদের দিক থেকে কে তার চেয়ে উত্তম, সে যেন তখন তার চেয়ে যে নিম্নমানের তার দিকে তাকায়।” [বুখারী: ৬৪৯০]

"যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তা অনুসরন করো না। কান, চোখ, মন-প্রত্যেকের কৈফিয়ত তলব করা হবে। তুমি মাটিতে দেমাক করে পা ফেলো না। তুমি মাটিও ফাটতে পারবে না ও পাহাড়ের সমান উঁচুও হতে পারবে না" (সূরা বনি-ইসরাইল, আয়াতঃ ৩৬-৩৭)

সুবাহান আল্লাহ , আমরা এই দুইটা হাদীস-কুরআন যদি ভালভাবে উপলব্ধি করে আমল করতে পারি তাহলে আমরা বহু দোষ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারব , ইনশাআল্লাহ ।

''যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে মুত্তাকী।'' [সূরা নাজম: ৩২]

জিপি মডেমের একটা কমোন সমস্যা ও তার সমাধান

জিপি মডেমের একটা কমোন সমস্যা ও তার সমাধান

অধিকাংশ মানুষই গ্রামীনফোনের মডেম ব্যবহার করছে। কিন্তু মডেমটির একটা জিনিষ খুবই অপছন্দনীয়। আর সেটা হলো অটোমেটিক গ্রামীনফোনের ওয়েব সাইটে ঢোকা। মানে যখন মডেমটা পিসিতে লাগিয়ে কানেক্ট বাটনে ক্লীক করলেই কানেক্ট হওয়ার পর অটোমেটিক internet.grameenphone.com ওপেন হয়। যতবারই ইন্টারনেট কানেক্ট করবেন ততবারই ঐ ওয়েব সাইটা চালু হয়। এটা একটা যন্ত্রনার চেয়ে কম নয়। আপনারা ইচ্...ছা করলে এই ঝামেলা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
১. জিপি মডেম সফটওয়্যারটি যেখানে সেটআপ দিয়েছেন সেখানে যান। সাধারণত জিপি মডেম C:\Program Files\grameenphone internet এ সেটআপ হয়।
২. সেখানে SysSetting.xml নামে একটা ফাইল দেখতে পাবেন।
৩. ফাইলটি যেহেতু xml ফরমেটের তাই খেয়াল রাখবেন ফাইলটি এডিট করার সময় কোন ভুল হলে আপনার সফটওয়্যারটিই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সতকর্তার জন্য ফাইলটির একটি ব্যাকআপ রাখুন।
৪. এবার ফাইলটি নোটপ্যাডের সাহায্যে চালু করুন।
৫. এখন http://internet.grameenphone.com/ লাইনটি খুজে বের করুন।
৬. http://internet.grameenphone.com/ লিংটি মুছে দিন।
৭. তারপর ফাইলটি সেভ করুন।
অথবা
নিচের পদ্ধতিটাও ব্যবহার করে এই কাজটি করতে পারেনঃ
১. জিপির সফটওয়্যারটি চালু করুন।
২. Tools থেকে Options এ যান।
৩. General Tab এ Startup যান।
৪. সেখানে Launch internet.grameenphone.com when connect to internet থেকে টিক mark টি তুলে দিন।
৫. ব্যাস কাজ শেষ।

আঙ্গুল ফোটালে শব্দ হয় কেন??

আঙ্গুল ফোটালে শব্দ হয় কেন??

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে, কাজের ফাঁকে, প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে, আঙ্গুল ফোটানোর। আঙ্গুল ফোটালে একধরনের জোড়ালো "ক্র্যাকিং", শব্দও হয় ।
সাধারণত ধারণা কারা হয়, আঙ্গুল মোচড়ানোর সময় হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে বুঝি শব্দ হয়। ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়। সেখানে হাড়ের মধ্যে ঘষা লাগেনা। আমরা যখন আঙ্গুল ফোটাই, আঙ্গুল গুলোকে আমরা সাধারনত এমন পরিমান বেন্ডিং করি, যেটা সাধারন ভাবে আঙ্গুলের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের জয়েন্ট গুলোর চারপাশে একধরনের ফ্লুইড থাকে, যেটাকে বলা হয়, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। যখন আমরা এভাবে আঙ্গুল গুলোকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সরিয়ে আনি, এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং একটা বাবল তৈরী হয়, যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙ্গে যায়, এই বাবল ফাটার শব্দটাই হচ্ছে, আঙ্গুল ফোটানোর শব্দের উৎস।
(Collected)

একই ক্ষমতা সম্পন্ন সাধারণ বাল্বের তুলনায় টিউব লাইটে আলো বেশি হয় কেন?



একই ক্ষমতা সম্পন্ন সাধারণ বাল্বের তুলনায় টিউব লাইটে আলো বেশি হয় কেন?

সাধারণ বাল্ব বা ইনক্যানডেসেন্ট বাল্বে, পাতলা ফিলামেন্ট থাকে । এই ফিলামেন্ট ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। এই ফিলামেন্টের রোধ এবং বিভব পার্থক্য বেশি থাকে ।এই রোধের জন্য যখন তড়িৎ প্রবাহিত হয় তখন ফিলামেন্টটি উত্তপ্ত হয়ে চারদিকে আলো ছড়াতে থাকে । এই প্রক্রিয়ায় বেশির ভাগ বিদ্যুৎ তাপে পরিণত হয় ।এর সামান্য অংশই আলোতে পরিণত হয়। অপরদিকে ফ্লোরেসেন্ট বা টিউব লাইটে দীর্ঘ টিউবের ভিতরের অংশ ফ্লোরেসেন্ট আচ্ছাদিত থাকে। গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিউব লাইটে আলো তৈরি হয় । এক্ষেত্রে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় পারদের বাষ্পের মাধ্যমে । এটি অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত করে। এই অতিবেগুনি রশ্মি ফ্লোরেসেন্ট আস্তরণকে উত্তেজিত করে আলো তৈরি করে। তাই এক্ষেত্র উত্তপ্ত হবার দরকার নেই । তাই টিউব লাইটে প্রবাহিত বেশিরভাগ বিদ্যুৎ আলোতে পরিণত হয় । তাই একই ক্ষমতা সম্পন্ন সাধারণ বাল্বের তুলনায় টিউব লাইটে আলো বেশি হয়।

Global Warming

পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পৃথিবীর অনেক যায়গা ডুবে যাবে কেন?
আমরা জানি বরফ এর আয়তন পানি থেকে বেশি । বরফ যদি গলে যায় তাহলে এর আযতন কমে যায় । একটি গ্লাস এ যদি এক টুকরো বরফ রাখা হয় তাহলে যে আয়তন হবে, বরফ গললে এর আয়তন তার থেকে কমে যাবে । পৃথিবীর দুই মেরুতে অনেক বরফ জমে আছে । বলা হয়যে Global Warming এর জন্যে যদি তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাহলে পৃথিবীর অনেক যায়গা ডুবে যাবে । প্রশ্ন হলো যেখানে বরফ গললে এর আয়তন তার থেকে কমে যায়, সেখানে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পৃথিবীর অনেক যায়গা ডুবে যাবে কেন?
পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পৃথিবীর অনেক যায়গা ডুবে যাবে শুধুমাত্র বরফ গলনের কারণে নয় । এর সাথে আরও কারণ রয়েছে কিন্তু বরফের গলনে সমুদ্রতলের উচ্চতাবৃদ্ধিতে পরোক্ষ অবদান রয়েছে. সমুদ্রের বরফের গলনের ফলে 'আলবেডও' (তলের প্রতিফলন ক্ষমতা) হ্রাস পায় যার ফলে সূর্যের বিকিরণ অধিক শোষিত হয়। সৌরকিরণের অধিক শোষণ উষ্ণকরণ ত্বরান্বিত করে এবং স্থলভূমিতে বরফ এবং তুষারের গলন বাড়িয়ে দেয়। উপরন্তু ভাসমান বরফস্তর ক্রমশ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে স্থলভূমি থেকে মহাসমুদ্রে বরফের প্রবাহ দ্রুততর হয় এবং এইভাবে সমুদ্রতল বৃদ্ধির ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রভাব ফেলে ।
আরও কয়েকটি কারণের মধ্যে রয়েছে পর্বতের হিমবাহ ও ক্ষুদ্র বরফ আস্তরণের ক্ষয় , গীনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বরফের ক্ষয়, মহাসমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি , তাপজনিত প্রসারণের ইত্যাদি।
কিন্তু মূল কথা হলো সকল কারনের ফলাফল হলো সমুদ্রতলের উচ্চতাবৃদ্ধি।
আসলে আমরা অনেকে ভাবি অথবা জানিযে শুধুমাত্র দুই মেরুতে বরফ আছে । মেরুতে সমুদ্রের উপরে যে বরফ আছে তা গলে গেলে আসলে কোন যায়গা প্লাবিত হবেনা । কিন্তু তাতো আর একা গলবেনা । তাপমাত্রা বাড়লে সারা দুনিয়ার তাপমাত্রা বাড়বে । স্থলভাগে অনেক বরফ আছে । আইসল্যান্ডে যে বরফ আছে তা দিয়ে পৃথিবীকে দুইবার মোড়ানো যাবে । আর পর্বতের জমে থাকা বরফের কথাইতো বাদই দিলাম।
(Source: Internet)

Facebook এর কিছু Shortcuts Keys

Facebook এর কিছু Shortcuts Keys আপনাদের জন্য।

নিচে প্রতিটি Browser এর জন্য Facebook এর Shortcuts এর তালিকা দেওয়া হলঃ-

Facebook এর জন্য Google Chrome Shortcuts:-

Alt+1: New Feed দেখার জন্য।
Alt+2: নিজের Profile দেখার জন্য।
Alt+3: Friend Requests এর pop-up দেখার জন্য।
Alt+4: Messages এর pop-up দেখার জন্য।
Alt+5: Notifications এর pop-up দেখার জন্য।
Alt+6: Account Satting দেখার জন্য।
Alt+7: Privacey Satting দেখার জন্য।
Alt+8: Facebook এ নিজের Profile দেখার জন্য।
Alt+9: Read latest terms of service agreement
Alt+?: Search করার জন্য।
Alt+M: নতুন Message লিখার জন্য।

আপনি যদি Firefox Browser ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য নিচের ShortCuts গুলো। উপরের GoogleChrome এর Shortcuts এর সাথে শুধু Shift Press করলেই হবে।

Shift+Alt+1: New Feed দেখার জন্য।
Shift+Alt+2: নিজের Profile দেখার জন্য।
Shift+Alt+3: Friend Requests এর pop-up দেখার জন্য।
Shift+Alt+4: Messages এর pop-up দেখার জন্য।
Shift+Alt+5: Notifications এর pop-up দেখার জন্য।
Shift+Alt+6: Account Satting দেখার জন্য।
Shift+Alt+7: Privacey Satting দেখার জন্য।
Shift+Alt+8: Facebook এ নিজের Profile দেখার জন্য।
Shift+Alt+9: Read latest terms of service agreement
Shift+Alt+?: Search করার জন্য।
Shift+Alt+M: নতুন Message লিখার জন্য।

আর যদি আপনি Internet Explorer ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত একটা কাজ করতে হবে। তাহল GoogleChrome এর ShortCuts দেওয়ার পর Enter Press করতে হবে।

ফেইসবুক ইউজাররা প্রথম নাম,শেষ নাম চেইন্জ করুন যতখুশী

ফেইসবুক ইউজাররা প্রথম নাম,শেষ নাম চেইন্জ করুন যতখুশী

১ম ধাপ :
আপনার যে একাউন্টের নাম চেইন্জ করবেন তা দিয়ে লগিন করবেন । তারপর Account Setting এ গিয়ে বামপাশের security থেকে । Deactive account a click করুন । তারপর Reason for leaving এ My id was hacked দিয়ে Here এ ক্লিক করুন।

২য় ধাপ:
Continue চাপুন।।।।।।

৩য় ধাপ:
Continue চাপুন।।।।।।

৪র্থ ধাপ:
নতুন পাসওয়ার্ড দিন।।।
৫ম ধাপ :
আপনার ইচ্ছে হলে ইমেইল পাসওয়ার্ড চেইন্জ করতে পারেন ।।। না হলে Continue চাপুন।।।।।।
শেষ কাজ: current Name (change) click করে নাম চেইন্জ করুন ।।।

(Collected)

Secure করুন আপনার Facebook একাউন্টটিকে

সামাজিক নেটওয়ার্ক জায়ান্ট ফেসবুকে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। পাশাপাশি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ফেসবুকে এক বিলিয়ন বার লগ-ইন হয়। আর এ সময় হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর মেসেজ, ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য দেখার চেষ্টা করে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন শতকরা শূন্য দশমিক ৫ ভাগের কম ব‌্যবহারকারী বিভিন্ন রকমের স্প্যাম পেয়ে থাকেন।

Secure করুন আপনার Facebook একাউন্টটিকে। বর্তমানে Facebook এর Security অনেক উন্নত করা হয়েছে । যার ফলে এখন Facebook Hack প্রায় অসম্ভব বলা যায় । এই Security System এর ফলে কারও Facebook Account এর Username ও Password জানা থাকলেও তার Facebook Account Hack করা যাবে না । Facebook এর এসব Security আমরা কি ভাবে কাজে লাগাতে পারি তা নিচে আলোচনা করা হল :-
১.আপনার Mobile Phone টি FacebookAdd করা থাকতে হবে । Add করা না থাকলে Add করে নিতে হবে ।
১.তারপর আপনার Facebook Account এর উপরে ডানদিকে DOWN-ARROW চিহ্নিত স্থানে Click করুন ।
২. এখান থেকে Account Settings এ Click করুন ।
৩. এবার বাম দিকের Security option এ Click করুন ।
৪. Secure browsing option এ Click করে Check Box এ Check করুন । Save changes option এ Click করুন ।
৫. এরপর Login notifications option এ Click করুন । এখানে Email ও Text message এর পাশের Check Box গুলোতে Check করুন । Save changes option এ Click করুন । এর ফলে আপনার select করা device ছাড়া অন্য কোন device থেকে আপনার Facebook Account এ কেউ Login করলে আপনি email এবং mobile এ sms এর মাধ্যমে তা জানতে পারবেন ।
৬. Login approvals এ Click করুন । এখানে Require me to enter a security code each time an unrecognised computer or device tries to access my account এর পাশের Check Box এ Check করুন । এর ফলে আপনার mobile এ একটি code পাঠানো হবে এবং একটি খালি box open হবে যেখানে আপনার mobile এ পাঠানো code টি লিখতে হবে । Code টি লিখার পর ok Click করুন । Save changes option এ Click করুন । এর ফলে আপনার select করা device ছাড়া অন্য কোন device থেকে আপনার Facebook Account এ কেউ Login করলে আপনি email এবং mobile এ sms এর মাধ্যমে একটি code পাবেন এবং এই code ছাড়া কেউ অন্য কোন device থেকে আপনার Facebook Account এ কেউ Login করতে পারবে না যদিও সে আপনার Facebook Account এর Username ও Password জানে ।
৭. Recognised devices option এ মাধ্যমে আপনি যেসব device থেকে Facebook এLogin করবেন সেগুলো Save করতে পারবেন ।

বুখারী ও মুসলিম

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

''তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে।''

[বুখারী ও মুসলিম]

যে ব্যক্তি সর্বদা নিজের স্বার্থের জন্য কাজ করে সে কল্যাণকামি হতে পারে না। তাই স্বার্থপরতা কল্যাণ কামনার পথে একটি বড় বাধা। যে ব্যক্তি নিজের জন্য যা পছন্দ করে অপরের জন্য তা পছন্দ না করলে সে-ই স্বার্থপর।

এ গুণটি অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন। মুসলিম জীবনে এ গুণটির অভাব সবচেয়ে বেশী। এ গুণটি না থাকার কারণে আমরা সর্বক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হই। অথচ এ গুণটিকে ঈমানের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এটি ঈমানের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিমকে এ গুণটি অর্জন করার তাওফীক দান করুন

রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১১

শিরক

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এই জীবন দর্শনের ভিত্তি তাওহীদ। যুগে যুগে নবী-রাসূলগণের সকল আহ্বানই ছিল তাওহীদের ওপর ভিত্তি করে। আর তা হলো অদ্বিতীয় এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একমাত্র তাঁরই ইবাদত করা। পাশাপাশি শয়তানের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত মানবগোষ্ঠী যে পথে যাত্রা করেছে তা হয়তো নাস্তিকতা, নয়তো শিরকর অন্ধকার পথ। তাওহীদের পথ যতটা আলোকময় ও পরিচ্ছন্ন, শিরকের পথ ততটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন ও বিভ্রান্তিকর। কারণ শিরক তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত। এর ধরণ ও প্রকৃতির মধ্যে কোথাও কোথাও সামান্য তারতম্য পরিলতি হলেও ল্য-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশের মুসলিম সমাজেও এর অস্তিত্ব বিদ্যমান। আমাদের সমাজের অনেকে নিররতা, স্বল্প শিা এবং দারিদ্রের কারণে জীবন সম্পর্কে অসচেতন। ধর্মীয় জীবনের েেত্রও একই অবস্থা। সমাজের মুসলমানরা ?আলিম-উলামা, পীর-মাশায়েখ, ধর্মীয় মুরব্বীগণের মুখে শুনে এবং তাদের দেখে ইসলাম পালন করতে চেষ্টা করে। তাছাড়া তারা পূর্বপুরুষদের আচরিত জীবনাচরণও গতানুগতিকভাবে গ্রহণ করেছে। কোন কোন কুসংস্কারকে তারা বিশ্বাসগতভাবে পাপ জানলেও কার্যত তাকে ুদ্র ভাবেন। আবার এর কোনটাকে ইবাদত বানিয়ে ছেড়েছে। আনন্দ, খুশী বা দুঃখ কষ্ট প্রকাশে মনগড়া রেওয়াজ পালনে এতোবেশি যত?বান হয়ে পড়েছে যে, ফরয, ওয়াজিব বাদ দিয়ে হলেও রেওয়াজটি নির্দিষ্ট সময়ে পালনে আবশ্যক বোধ করে। এর মধ্যে অন্যতম শিরক বিদ্যমান। এর পেছনে তাদের সঠিক জ্ঞানগত ধারণা ও বুঝ অনুপস্থিত। এখানে হযরত উমর (রা.)-এর একটি বাণী স্মরণযোগ্য। তাঁর নিকট এক লোকের প্রশংসায় বলা হলো, লোকটি এমনই পূর্ণবান যে, সে পাপ সম্পর্কে কোন জ্ঞানই রাখে না।? জবাবে তিনি বললেন, ?এ অবস্থা হলে লোকটির পাপের মধ্যে জড়িয়ে পড়ার আশংকা খুবই বেশি। কারণ যে লোক পাপ ও পূণ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে জানে না, তার যে কোন সময় পাপের মধ্যে জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক।? সুতরাং ঈমানের দাবী পূরণে সে জাহিলিয়াতের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আল কুরআনে শিরক বা বড় জুলুম নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শিরকের পরিচয় মানুষের চিন্তা ও কর্মে শিরকের অনুপ্রবেশ অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে হয়ে থাকে। অনেক সচেতন মানুসও ঘটনাচক্রে এ ভুল করে বসেন। শিরকের শাব্দি অর্থ আমরা অংশী সাব্যস্ত করাকে বুঝি। বিশেষত আল্লাহ তা?আলার সাথে কাউকে সমক বিবেচনা করা অর্থে। ড. ইবরাহিম ইবন মুহাম্মদ আল বারিকান বলেন, শিরক বলতে, ?গায়রুল্লাহকে আল্লাহর সাথে তার বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে সমক বিবেচনা করা বুঝায়।? বিশেষ অর্থে ?গায়রুল্লাহকে আল্লাহর সাথে ইলাহ, মা?বুদ ও আনুগত্যের প্রাপক হিসেবে বিবেচনা করাকে বুঝায়।? শাযক সুলাইমান ইবন আবদুল্লাহ আল শায়খ বলেন, শিরক, মহান ও পবিত্রতম আল্লাহর বৈশিষ্ট্যাবলীর সাথে সৃষ্টির সাদৃশ্য করা, উলুহিয়্যাতের েেত্র, ভালো-মন্দের মতার েেত্র, প্রদান ও নিষিদ্ধ করার েেত্র, প্রার্থনা, ভয়, প্রত্যাশা, নির্ভরতা ও তাঁর উদ্দেশ্যে সম্পাদিত সকল প্রকার ইবাদতের সাথে সম্পর্কিত।? বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে শিরক ও তার ধরণ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে স্বভাবত কোন শিরকি কাজে লিপ্ত হয় না। তবে অজ্ঞতা ও অসচেতনার কারণে অনেক সময় শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সেটা কখনও ব্যক্তিগত কাজের নামে, কখনও সামাজিক লোকাচারের নামে, কখনও রাষ্ট্রৗয় কার্যাদির নামে, আবার কখনও ধর্মীয় কাজের নামে। তার ধরণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে অতি সংেেপ এ পর্যায়ে আলোচনা করা হলো : এক. চিন্তা ও বিশ্বাসগত শিরক মানুষ যে কোন কাজ তার চিন্তা ও বিশ্বাস থেকে করে থাকে। এ থেকেই সে কাজের অনুপ্রেরণা লাভ করে। নিজেকে করে কর্মতৎপর। শিরকের েেত্রও বিষয়টি সমভাবে প্রযোজ্য। যেমন, আল্লাহ তা?আলার রূবুবিয়্যাত ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত শিরক। তাঁর রব্ব বা সৃষ্টিকর্তা ও ব্যবস্থাপক হওয়া একটা অনস্বীকার্য সত্যরূপে চিরকালই স্বীকৃত হয়ে আসছে আল্লাহকে এভাবে মক্কার কাফিরদেরও মেনে নেয়ার কথা কুরআনে ঘোষিত হয়েছে। তাদের অনেকেরই বিশ্বাস ছিল, ?বিশ্বলোকের স্রষ্টা এক আল্লাহ হলেও তিনি একাই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করছেন না, তার একার পে সম্ভবও নয়। এই কাজে তার সাথে অন্যান্য শক্তি ও শরীক রয়েছে। আবার অনেকে বিশ্বাস করত আল্লাহ তা?আলা পৃথিবী সৃষ্টির পরে এ থেকে বিচ্ছিন্ন ও নিঃস্বার্থ অসিলা ও শাফা?আত সংক্রান্ত শিরক। আল্লাহর নাম ও গুণ সম্পর্কিত শিরক। তাঁর কোন সৃষ্টিকে ঐ গুণে গুণাম্বিত করা যা কেবল আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। যেমন গায়েবের জ্ঞান। আল্লাহর গুণাবলী সংক্রান্ত শিরক। যেমন তিনি যে সব গুণাবলীর অধিকার অন্য কাউকে তেমন গুণাবলীর মালিক মনে করা ইত্যাদি। আল্লাহ তা?আলার উলুহিয়্যাত সংক্রান্ত শিরক। নবী-রাসুলগণের দাওয়াত ?ইবাদতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা এবং শিরক ও মূর্তিপূজার শৃঙ্খল ছিন্ন করার উপর নিবন্ধ। আল্লাহ তা?আলার উলুহিয়্যাতের সাথে মানুষ ?ইবাদতের নামে সবচেয়ে বেশি শিরক করে থাকে। যেমন, আল্লাহর ইবাদত সংক্রান্ত শিরক। কেউ যদি নবী-রাসূলগণের দিক নির্দেশনার বাইরে নিজস্ব ধ্যান ধারণায় ইবাদত করতে চেষ্টা করে অবশ্যই তা বর্জনীয় অথবা শিরক বা কুফরের পর্যায়ে পড়বে। ঈমান আনা সংক্রান্ত শিরক। যদি কেউ আল্লাহ ব্যতীত কাউকে অন্তর্ভুক্ত করে তাহলে তা অবশ্যই শিরকের পর্যায়ভুক্ত হবে। মুহাব্বত বা ভালোবাসার মধ্যেও শিরক সূক্ষ্ম পর্যায়ে অবস্থান করে। কারণ ভালোবাসা ও প্রেম একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে শরী?আতসম্মত পন্থায় হতে হবে। আওলিয়া কিরাম, পীর মাশায়েখ ও নেককার মানুষদের ব্যাপারে ধারণা পোষন সংক্রান্ত শিরক। তাঁদের ব্যাপারে এমন ধারণা পোষণ করে যে, ?এ পৃথিবীতে অনেক সম্মানিত অলী-দরবেশ, কুতুব ও সালেহ, মনীষী আছেন যাঁরা মানব সমাজ পরিচালনায় েেত্র বিশেষ শক্তি মতার অধিকারী। তাঁরা মানুষের জীবনে উন্নতি-অবনতি, সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয় ও লাভ-তি ইত্যাদি বিষয়ে উক্ত মতা ব্যবহার করেন।? আওলিয়া কিরাম, পীর-মাশায়েখ ও নেককার মানুষদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন সংক্রান্ত শিরক। অনেকে বিশ্বাস করে যে, আওলিয়া, মাশায়িখ ও সালেহীন মনীষীগণকে কৃতজ্ঞতামূলক সাজদা করাতে কোন দোষ নেই। বরং এটা পালনযোগ্য শিষ্টাচার। অনেকে তাঁদের লাঠি, টুপী, জুব্বা, পাগড়ী, তাছবীহ, বসার চেয়ার, খাটসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্রকে সংরতি স্থানে রেখে সে স্থানকে যিয়ারতের স্থানে পরিণত করে। জ্বীন সম্প্রদায়ের প্রভাব সংক্রান্ত শিরক। যেমন কেউ নতুন বাড়ি তৈরি করার সময় সেখানে জ্বীনের ভয় অপসারণের ল্েয কুরবানী মানত করে, ভিতের নীচে মিষ্টি ও সোনা দিয়ে থাকে ইত্যাদি। দুই. কুসংস্কারগত শিরক আমরা জানি মানব সমাজে শিরকের সূচনা ও প্রসারের অন্যতম কারণ প্রচলিত সামাজিক বা ধর্মীয় কুসংস্কার। যুগে যুগে মানুষ এ কুসংস্কারের বেড়াজালে বা মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে অনেক সময শিরকের মত জঘন্য পাপে লিপ্ত হয়েছে। আমাদের সমাজের েেত্রও এর ব্যতিক্রম হয়নি। নিম্নে কয়েকটি তুলে ধরা হলো : মতাধর ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন সংক্রান্ত শিরক। সমাজে শাসক কিংবা দায়িত্বশীল রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাকে সাধারণ নিয়মে সম্মান প্রদর্শন করতে কোন দোষ নেই। কিন্তু অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থ লাভের মানসে তাদেরকে অতিরিক্ত ভালোবাসা অথবা অনাকাক্সিত সম্ভাষণ, হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল বলে ঘোষণা করতেও দ্বিধা করে না। নিঃসন্দেহে এ ধরনের কাজ কুফর ও শিরকের পর্যায়ভুক্ত। জন্ম-মৃত্যু, বিয়ে-শাদীসহ ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে অমুসলিম আনুষ্ঠানিকতা অব্যাহত থাকে। সন্তান কামনা ও রোগ মুক্তির আকাক্সায় কোন পীরের দরগাহ, খঅনকাহ বা মাযারে ও মসজিদে মানত করা। বাংলাদেশের দণিাঞ্চলের বিশেষ করে বৃহত্তর খুলনা এলাকার লোক নৌকা পথে কাঠ ও মধু সংগ্রহের জন্য জঙ্গলে যায, তখন নৌকাটি দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। কেউ তেল, ডাবের পানি অথবা পানি দ্বারা ধুয়ে বলে থাকে মা কাষ্ঠদেবী রুজিতে বরকত দিও এবং বিপদ-আপদ হতে রা করো। এটা স্পষ্ট শিরক। দেশের বহুলোক মনে করে বাঁশ, সুপারী, নারিকেল গাছ রোপন করলে বংশ বিনাশ হয় বা ব্যধিগ্রস্থ হয়। শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারে বাঁশের গায়ে জ্বর থাকে বিধায় উক্ত বাঁশ কাটলে সে জ্বর বাঁশ কর্তনকারীর গায়ে হলে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয় ইত্যাদি। মানুষ মারা গেলে এক বছরের মধ্যে সে বাড়িতে চাউল ও হলুদ কোটে না, সূর্যাস্তের পরে হলুদ, চিটেগুড় বিক্রি করে না, জ্বীন ভুতের আক্রমণ হতে রা পাওয়ার জন্য ছেলেমেয়ের মাথায় হলুদের গুড়া দেয়া হয়। বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ মাসে হলুদ কুটলে প্রথম সন্তান মারা যায়, কল্যাণের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যাবাতি জ্বালানো, কল্যাণের আশায় কোন খাদ্য-শস্য মাপার পূর্বে ?বরকত? শব্দ বলা, বাসার রান্না করা খাবার পুরুষ লোককে না খাওয়ায়ে ফকির বা স্ত্রী লোককে না দেয়া, ধান-চাল চাপার দাঁড়িতে বা পাত্রে পা লাগলে সালাম করা ইত্যাদি। আমাদের দেশের অনেক মানুষের ধারণা ভালো নাম রাখলে সন্তান বাঁচে না সে জন্য সন্তানের নাম রাখে পঁচা, প্যাচা, ফেলী, কালু ইত্যাদি। এ ছাড়া আবদুল নবী, আবদুর রসূল ইত্যাদি নাম রাখা হয়। তিন. বিবিধ কর্মগত শিরক সূত্রধররা মুখে বিশ্বকর্মার নাম নিয়ে কাজ আরম্ভ করে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ষষ্ঠ রাতে আতুর ঘরে দোয়াত-কলম ইত্যাদি রেখে দেয়া, সকালে কিংবা কোন রোগ শোকে বিপন্নকাল কাক, পেঁচা ও কুকুর ডাকলে অশুভ লণ বলে বোধ করা হয়, কোন আত্মীয়-স্বজন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়। জ্বীন ভূতের আক্রমণ, সাপের কামড় কিংবা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের গায়ে বাও-বাতাস লাগার ভয়ে কুফরী মন্ত্র পাঠকারীদের নিকট থেকে তাবিজ-তদবীর নেয়া শিরক। কোন ব্যক্তি দূরদেশে যাত্রাকালে তার পেছন থেকে ডাক দিলে, পায়ে হোঁচট খেলে কিংবা খালি কলস সামনে পড়লে যাত্রা অশুভ হয়। পঞ্জিকার হিসাব অনুযায়ী যাত্রা শুভ অশুভ, বিবাহের দিন ও লগ্ন নির্ধারণ, পুকুর কিংবা ঘরবাড়ি পত্তন করতে উক্ত চিন্তা করা, গ্রাম বন্ধ করে নেয়া, ছাগলের চামড়ার মধ্যে খড় ভর্তি করে ছাগলে প্রতিকৃতি তৈরি করে গ্রামের বহু রাস্তার মাথায় বাঁশের মাথায় উঁচু করে রাখা শিরক। কোন ব্যক্তি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কোন ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনাকালে উক্ত ব্যক্তি উপস্থিত হলে বলা হয়, আপনি দীর্ঘজীবী হবেন, ব্যবসায়ী নগদ বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত কোন কোন মাল বাকিতে বিক্রি করেন না এ ধারণায় যে, সারাদিন তাকে বাতিকেই বিক্রি করতে হবে প্রথম বিক্রির টাকাটা মাথা, দাঁড়িপাল্লায় ও ক্যাশ বাক্সেরন গায়ে লাগানো ও সালাম করা হয় এ উদ্দেশ্যে যে, ব্যবসায় লাভবান হওয়া যাবে। 
আল্লাহ আমাদেরকে শিরক থেকে রক্ষা করুন.আমীন

আবুল ফজল

আবুল ফজল

জন্ম- ১৯০৩ খ্রি:, মৃত্যু- ১৯৮৩ খ্রি:

জন্মস্থান- 
কেউচিয়া গ্রাম, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

উপন্যাস-
@ চৌচির,
@ সাহসিকা
@ জীবন পথের যাত্রী
@রাঙ্গাপ্রভাত,
 @আলোক লতা ইত্যাদি

প্রবন্ধগ্রন্থ- 

@সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন
,@ সমাজ সাহিত্য রাষ্ট্র,
 @শুভবুদ্ধি,
@ সমকালীন,চিন্তা
@ রেখাচিত্র
@ সফরনামা,
 @দুদিনের দিনলিপি,
@ লেখকের রোজনামচা ইত্যাদি।

রাজা রামমোহন রায়



রাজা রামমোহন রায়ঃ 

১৭৭২ সালে হুগলী জেলার তালুকদার পরিবারে তার জন্ম। তিনি ছিলেন সমাজ শিক্ষা ও ধর্ম সংষ্কারক।

 ** ১৮২৮ সালে তিনি ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন। 

** হিন্দু-ইসলাম-খ্রীষ্ট ধর্ম সার সংক্ষেপ করে একেশ্বরবাদের উপড় ভিত্তি করে ব্রাহ্ম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন।

** সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরণ (লর্ড বেন্টিক এর আমলে) ও বিধবা বিবাহের জোর প্রচারণা চলান।

** ১৮২৩ সালে সংবাদপত্র বিধি (Press Ordinance) পাশ করা হলে তিনি তীব্র আন্দোলন করেন।

** ১৮৩০ সালে তৎকালীন নাম মাত্র মোঘল বাদশা ২য় আকবর তার দাবি-দেওয়া ব্রিটিশ সরকারের কাছে পেশ করার জন্য রামমোহন রায়কে বিলেতে পাঠান। এ সময় তিনি তাকে "রাজা" উপাধি দেন।

** পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে তিনি কলকাতায় "এংলো হিন্দু" নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

** তিনি ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টম্বর ইংল্যান্ডের ব্রিষ্টল শহরে মারা যান।

** তার গ্রন্থ সমূহঃ 

বেদান্ত গ্রন্থ (১ম), বেদান্ত সার, পথ্য দান [বেদান্ত চন্দ্রিকা লিখেছেন মৃ্ত্যুঞ্জয় বিদ্যালম্কার]
ভট্টাচর্যের সহিত বিচার, গোস্বা্মীর সহিত বিচার
প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ (সতীদাহ প্রথার অযৌক্তিকতা প্রসঙ্গে এই গ্রন্থটি লিখা হয়েছে।)

দীনবন্ধু মিত্র




দীনবন্ধু মিত্র
জন্মঃ 1830 সালে, নদীয়ার চৌবেড়িয়া গ্রামে। মৃত্যুঃ 1873 সালে।


নাটকঃ

✦নীল দর্পণ

✦নবীন তপস্বিনী

✦লীলাবতী

✦কমলে কামিনী।


প্রহসনঃ

✦সধবার একাদশী

✦জামাই বারিক

✦ বিয়ে পাগলা বুড়ো।

নীল দর্পণঃ

1860 সালে ঢাকার বাংলা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ। এই নাটকে মেহেরপুর অঞ্চলের নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত নাটকটির ইংরেজী অনুবাদ করে নাম দেন "Nil Darpan" or "The Indigo Planting Miror"। এটি ঢাকায় মঞ্চস্থ প্রথম নাটক। এই নাটক দেখতে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অভিনেতাদের লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন।

সধবার একাদশীঃ

উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে সুরা পান এবং বেশ্যা বৃত্তি যুবকদের জীবনে যে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল সেই কাহিনী বর্ণিত।

✱ নীল দর্পণ (নাটক): দীনবন্দু মিত্র;
✱ নীল দংশন (উপন্যাস): সৈয়দ শামসুল হক;
✱ নীল লোহিত (গল্প): প্রমথ চৌধুরী।

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক


"বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গত কয়েক দশক ধরেই অন্যতম আলোচনা ও বিরোধের বিষয় হয়ে আছে রাষ্ট্রীয় ভৌগলিক সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু ভূখণ্ডউভয় দেশেরই মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এসব জনপদের পরিচিতি ছিটমহল নামে 

আর এই ছিটমহল মানে ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের আর বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ভূখণ্ডতবে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতীয় ছিটমহলের মধ্যেও আবার বাংলাদেশের ভূখণ্ড রয়েছে 

কুড়িগ্রামে ভারতের ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার ভেতরেই রয়েছে চন্দ্রখানা নামে বাংলাদেশের এক ছিটমহল

বস্তুত ভারত ভাগের প্রাক্কালে ১৯৪৭ সালে প্রণিত এক ব্রিটিশ আইন এ ধরনের ছিটমহল জন্মের প্রেক্ষাপট রচনা করে

ওই আইনে বলা হয়, উপমহাদেশের স্বাধীন অঞ্চলগুলো তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবে অথবা চাইলে স্বাধীন সত্ত্বা নিয়েও থাকতে পারবে

এ আইনের সুযোগ নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে যোগ দেয় রাঙামাটির রামগড় ও পূর্ব বান্দরবানআর পূর্ব সীমান্তের পার্বত্য ত্রিপুরা ও উত্তরের কুচবিহার যোগ দেয় ভারতে 

কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় কুচবিহার নিয়ে 

জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ তখন কুচবিচারের রাজাতার জামিদারি বিস্তৃত ছিলো বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কিছু অংশে 

অপরদিকে রংপুর ও দিনাজপুরের জমিদারের কিছু তালুক ছিল কুচবিহারের সীমানায়ভারত ভাগের সময় এসব জমি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হন তারা

এ পরিস্থিতিতে ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমারেখা টানার পরিকল্পনা করেন লর্ড মাউন্টব্যাটেনস্বদেশি আইনজীবী সিরিল র‌্যাডক্লিফের নেতৃত্বে সীমানা নির্ধারণের কমিশন গঠন করে দেন তিনি 

এই দায়িত্ব নিয়ে ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই লন্ডন থেকে ভারত আসেন র‌্যাডক্লিফমাত্র ছয় সপ্তাহের মাথায় ১৩ আগস্ট সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি 

এর তিন দিন পর ১৬ আগস্ট সীমানার মানচিত্র প্রকাশ করা হয়

কিন্তু তাড়াহুড়োর কাজে স্বভাবতই অনেক ভুল-ভ্রান্তি-অপূর্ণতা রয়ে যায়এ ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় হয়নিযথার্থ হয়নি র‌্যাডক্লিফ কমিশনের সীমানা নির্ধারণউপরন্তু কমিশন সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা আর জমিদার, নবাব, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে দেশভাগের সীমারেখা নির্ধারণে প্রভাব ফেলে বলেও অভিযোগ ওঠে 

এসবের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে ভারতের ভেতরে পূর্ব পাকিস্তানের কিছু ভূখণ্ড ও পূর্ব পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের কিছু ভূখণ্ড রয়ে যায়মূল রাষ্ট্রীয় সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন এসব ভূখণ্ডই পরবর্তীতে ছিটমহল নামে পরিচিতি পায়

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঝুলতে থাকা ছিটমহল সমস্যা বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সমস্যায় পরিণত হয় 

বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের হিসাবে, উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম আর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারী থানার কিছু জমি ভারতের সীমান্ত জেলা কুচবিহারের অধীনে রয়েছে 

অপরদিকে কুচবিহারের কিছু জমি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ, নীলফামারীর ডিমলা, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম এবং কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় রয়েছে 

এসব নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর ও ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হয় কলকাতায়ওই বৈঠকের সিন্ধান্ত অনুযায়ী ওই বছরই মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে তৈরি করা হয় ছিটমহলের তালিকা 

ওই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১৬২ ছিটমহলের আয়তন দাঁড়ায় ২৪ হাজার ২৬৮ দশমিক ০৭ একর 

ওই তালিকা থেকে আরো জানা যায়, ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল রয়েছে ৫১টিএগুলোর আয়তন ৭ হাজার ১১০ দশমিক ০২ একরঅপরদিকে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ দশমিক ০২ একর 

সাম্প্রতিক জনগণনা অনুযায়ী, ভারতী ছিটমহলের লোকসংখ্যা ৩৭ হাজারআর বাংলাদেশের ছিটমহলে বাস করে ১৪ হাজার মানুষ

ভারতীয় ছিটমহলগুলোর অধিকাংশই রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেএ সবের মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯, পঞ্চগড়ে ৩৬, কুড়িগ্রামে ১২ ও নীলফামারিতে চারটি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে

অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেএর মধ্যে ৪৭টি কুচবিহার ও চারটি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত 

ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলবাসীর বাংলাদেশের ও বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতীয় ছিটমহলবাসীর ভারতের নাগরিকত্ব থাকলেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারামানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন দিনের পর দিন 

আইনি জটিলতায় কোন দেশের পুলিশই তৎপর হয় না এসব ভূখণ্ডেতাই হরহামেশা এসব এলাকায় ভয়ংকর অপরাধীদের দাপট বাড়ে 

এছাড়া ব্যাংক, বিদ্যুৎ, পাকা সড়ক, সেতু, হাটবাজার আর বিদ্যালয়ের অভাবে যথাযথ বিকাশও হয় না এসব এলাকার মানুষের 

তারওপর ভারতের নাগরিক হয়ে ভারতে আর বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে ইচ্ছেমতো যাওয়া-আসার অধিকার বঞ্চিত তারাচিকিৎসা সেবাও নাজুক এখানেনেই পর্যাপ্ত পানীয় জলও

রাস্তা বলতে যেন জমির আইল আর সেতু বলতে বাঁশের সাঁকোকেই বোঝেন ছিটের মানুষ হিসেবে উভয় দেশে নিগৃহীত ছিটমহলবাসীঠিক যেন না ঘরকা না ঘাটকা অবস্থা তাদের

এ অবস্থা থেকে ছিটমহলবাসীকে মুক্তি দিতে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হয় বিভিন্ন সময়েকিন্তু ভেস্তে যায় সব কটিই

ছিটমহল সমস্যা সমাধানের সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৪৭ সালেকিন্তু পাক-ভারত বৈরিতায় ভেস্তে যায় সেটা 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নূন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৫৮ সালে চুক্তির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেনবেরুবাড়ী ছিটমহল হস্তান্তরের একটি যৌথ ঘোষণায়ও সই করেন তারা 

ওই চুক্তি অনুযায়ী, বেরুবাড়ীর উত্তর দিকের অর্ধেক অংশ ভারত এবং দক্ষিণ দিকের অর্ধেক অংশ ও এর সংলগ্ন এলাকা বাংলাদেশের পাওয়া কথা ছিলো 

পরবর্তীতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে এ সম্ভাবনা আটকা পড়ে

১৯৫৮ সালের চুক্তিতে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ থাকলেও এ ব্যাপারে ভারতের সংবিধানের ১৪৩ ধারা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চান দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রপতি 

তখন আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে 

পরে ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনী আর জনগণনার অজুহাতে ছিটমহল বিনিময় দফায় দফায় বিলম্বিত হয়

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের ১৬ মে উভয় দেশের স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ বিষয়ক এক চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী 

ওই চুক্তিতে উভয় দেশের মধ্যে দ্রুত ছিটমহল বিনিময়ের তাগিদ দেওয়া হয়

মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির নামে ওই চুক্তিতে আরো বলা হয়, দক্ষিণ বেরুবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দিকের অর্ধাংশ ও পার্শ্ববর্তী ছিটমহলগুলো পাবে ভারতবিনিময়ে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমলের অধিকারী হবে বাংলাদেশএছাড়া বাংলাদেশের পানবাড়ী মৌজার সঙ্গে দহগ্রামকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে তিন বিঘা নামে ১৭৮ দশমিক ৮৫ মিটার এলাকা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেবে ভারত

এ চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে বেরুবাড়ি দিয়ে দেয় বাংলাদেশকিন্তু ভারত এ শর্ত বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে 

১৯৯০ সালে বাংলাদেশকে তিন বিঘা ব্যবহারের অনুমতি দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও এর মধ্যে আরো একটি চুক্তি হয় 

এ চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৯২ সালের ২৬ জুন তিন বিঘা করিডর ব্যবহারের শর্তযুক্ত অনুমতি দেয় ভারতএতে ছিটমহলের বাসিন্দাদের সকাল ছটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর ওই করিডোর দিয়ে চলাচলের সীমিত সুযোগ তৈরি হয় 

অনেক দেনদরবারের পর ২০০১ সালের ১১ মার্চ থেকে শুধু দিনের বেলা কোন বিরতি ছাড়াই ১২ ঘণ্টা তিনবিঘা করিডর দিয়ে চলাচলের অনুমতি মেলে

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ছিটমহল সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় আওয়ামী লীগওতবে কাজ হয়নি তাতেও 

দিল্লিতে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যৌথ সীমানা ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়এ পর্যন্ত গোটা চারেক বৈঠক করে ১৯৭৪ সালের চুক্তির আলোকে সীমান্ত সমস্যা সুরাহার সিদ্ধান্ত নেয় উভয় পক্ষ 

ছিটমহল ও অপদখলীয় জমিগুলোতে ২০০৭ সালে যৌথ সফরের পর ধাপে ধাপে বিষয়গুলো সুরাহার প্রস্তাব তোলে বাংলাদেশ 

কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, ধাপে ধাপে নয়, সমন্বিতভাবে বিষয়গুলো সমাধান করতে চায় তারা 

সর্বশেষ ভারতের মনমোহন সিংহ দুদিনের বাংলাদেশ সফরে এসে ৬ সেপ্টেম্বর তিন বিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার ঘোষণা দেন

কিন্তু এতেও সমাধান হয় না ছিটমহল সমস্যারতিন বিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলার রাখার ঘোষণা দিলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সব ছিটমহল নিয়ে কোন কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছতে ব্যর্থ হন

তাই বাংলাদেশে মনমোহনের সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই নতুন করে অসন্তোষ ও বিক্ষোভ শুরু হয় ছিটমহলগুলোতেবাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের ছিটমহলের বাসিন্দারাই নানা কর্মসূচি পালন শুরু করেনএমনকি টানা দুরাত বাতি নিভিয়ে রেখে অভিনব প্রতিবাদ জানায় উভয় দেশের ছিটের মানুষসাড়ে ছ দশক অপেক্ষা করেও স্বাধীন দেশের মুক্ত নাগরিকের জীবন-যাপনের স্বপ্ন যেন লুকোচুরি খেলছে তাদের সাথে