*#বারমুডা ট্রায়াঙ্গল*#*#*#*#
নতুন করে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।
সম্প্রতি আমেরিকান বিজ্ঞানীরা বহুল আলোচিত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে পুরোপুরি ব্যতিক্রমী এক তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। নতুন এই তত্ত্ব বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে আমাদের আগের জানার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওই এলাকার সাগরের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভাইরাস। কিন্তু এই ভাইরাস মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। এগুলোর সব নজর শুধু সামুদ্রিক ব্যাকটেরিয়ার প্রতি।
“বারমুডা ট্রায়াঙ্গল” পদবাচ্যটি অতি সুপরিচিত ও বহুল আলোচিত হলেও এর সূচনা কিন্তু খুব বেশি দিন আগের নয়। এর সূচনা ১৯৬৪ সালে। কথাটি সর্বপ্রথম চালু করেন আধ্যাত্মবাদের অনুসারী ও রহস্যের প্রতি আগ্রহী পুরুষ ভিনসেন্ট গ্যাড্ডিস। পোর্টেরিকো দ্বীপ, ফ্লোরিডা উপকূল ও বারমুডার মধ্যবর্তী এলাকাটি হচ্ছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। বলা হয় এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় যেসব নৌজাহাজ ও উড়োজাহাজ গেছে, তার একটিও আর সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেনি। কোথায় গেছে কেউ জানে না। অবশ্য গুটিকতক জাহাজের অবশেষ খুঁজে পাওয়া গেলেও এগুলোর যাত্রী ও নাবিকদের পাওয়া যায়নি। এদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা-ও জানা যায়নি। এ ধরনের হারিয়ে যাওয়া নৌজাহাজ আর উড়োজাহাজের সংখ্যা শতশত, হাজার হাজার। আটলান্টিক মহাসাগরের এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল তাই বিশ্বের মানুষের কাছে এক আতঙ্ক। এসব দেখে গ্যাড্ডিস অভিমত প্রকাশ করেন, নিশ্চয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকার কোনো একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার ফলে এমনটি ঘটে চলেছে। অবশ্য এ ধরনের ধারণা দেয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রম নন। ১৯৫০ সালে আমেরিকান সাংবাদিক আলেক্সান্ডার জোনস এই এলাকায় রহস্যজনকভাবে এই জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি লেখা লিখেন। তিনি তার লেখায় এই এলাকাকে অভিহিত করেন Sea Devil নামে। তবে বারমুডাট্রায়াঙ্গল নামটি জনপ্রিয়তা পায় ১৯৭৪ সালের দিকে। তখন বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার কাজে লক্ষে চলা ব্যক্তিত্ব চার্লস বারলিটজ একটি বই প্রকাশ করেন। সে বইটির শিরোনামও ছিল সি ডেভিল Sea Devil। এ বইটিতে তিনি হারিয়ে যাওয়া নানা জাহাজের বিবরণ সংগ্রহ করে প্রকাশ করেন। প্রকাশের সাথে সাথে এটি বেস্ট সেল বইয়ের মর্যাদা পায়। আসলে এই বইটির মাধ্যমেই বিশ্ববাসী এই বিপজ্জনক ও রহস্যময় “সি ডেভিল” তথা সমুদ্র-শয়তান সম্পর্কে প্রমবারের মতো স্পষ্ট একটা ধারণা পায়। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞানী গোষ্ঠী উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন, কেন এভাবে রহস্যময় কারণে জাহাজগুলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে এসে হারিয়ে যাচ্ছে? এর পেছনে ব্যাখ্যা কী? কিন্তু সে রহস্য থেকে যায় অনুন্মোচিত। অবসান ঘটেনি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে রহস্য আর আশঙ্কার। কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়েনি তাদের কাছে। ইউএস কোস্টগার্ড প্রকাশ করেছে এই ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট। এসব রিপোর্টে বলা হয়, পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় যে হারে জাহাজ হারিয়ে যাচ্ছে, বারমুডায় তার চেয়ে বেশি হারে জাহাজ হারনোর ঘটনা ঘটছে না। আর এগুলো ঘটছে শুধু ঝড়ের কারণে। বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে পৌঁছার আগে পর্যন্ত কোনো নাবিক এই এলাকাকে রহস্যময় বলে বর্ণনা করেননি, যেখানে বিভিন্ন জাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হচ্ছিল। নব্বইয়ের দশকে এসে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কিত মানুষের আগ্রহ অনেকটাই উবে যায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবার এ এলাকার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কিন্তু তারপরও এ এলাকায় এসে জাহাজ ও বিমান হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটির কোনো সুরাহা হয়নি। সম্প্রতি এটি নিয়ে জীববিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, তাদের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা তথ্য হচ্ছে- এই এলাকার পানির উপরিভাগে প্রচুর পরিমাণে যেসব অণুজীব রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ভাইরাস। আরো মজার ব্যাপার হলো, এসব আণুবীক্ষণিক অণুজীবের গতিবিধি সরাসরি ঋতুর সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমন- গ্রীষ্মকালে এ এলাকার পানির ৬০-১০০ মিটার গভীরতায় যে স্তর রয়েছে, তাতে এই ভাইরাসের সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে যায়। তখন দেখা গেছে, প্রতি ফোঁটা পানিতে সেখানে এক কোটি ভাইরাস কণা থাকে। শীত মওসুমে এরা পানির উপরিতলায় একদম থাকে না বললেই চলে। কারণ, তখন এগুলো এর প্রভুদের অনুসরণ করে আরো গভীরতায় চলে যায়।
বিস্তারিত http://www.pchelplinebd.com/?p=35957
মোবাইল লিংক http://www.pchelplinebd.com/wap/index-wap2.php?p=35957
নতুন করে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।
সম্প্রতি আমেরিকান বিজ্ঞানীরা বহুল আলোচিত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে পুরোপুরি ব্যতিক্রমী এক তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। নতুন এই তত্ত্ব বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে আমাদের আগের জানার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওই এলাকার সাগরের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভাইরাস। কিন্তু এই ভাইরাস মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। এগুলোর সব নজর শুধু সামুদ্রিক ব্যাকটেরিয়ার প্রতি।
“বারমুডা ট্রায়াঙ্গল” পদবাচ্যটি অতি সুপরিচিত ও বহুল আলোচিত হলেও এর সূচনা কিন্তু খুব বেশি দিন আগের নয়। এর সূচনা ১৯৬৪ সালে। কথাটি সর্বপ্রথম চালু করেন আধ্যাত্মবাদের অনুসারী ও রহস্যের প্রতি আগ্রহী পুরুষ ভিনসেন্ট গ্যাড্ডিস। পোর্টেরিকো দ্বীপ, ফ্লোরিডা উপকূল ও বারমুডার মধ্যবর্তী এলাকাটি হচ্ছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। বলা হয় এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় যেসব নৌজাহাজ ও উড়োজাহাজ গেছে, তার একটিও আর সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেনি। কোথায় গেছে কেউ জানে না। অবশ্য গুটিকতক জাহাজের অবশেষ খুঁজে পাওয়া গেলেও এগুলোর যাত্রী ও নাবিকদের পাওয়া যায়নি। এদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা-ও জানা যায়নি। এ ধরনের হারিয়ে যাওয়া নৌজাহাজ আর উড়োজাহাজের সংখ্যা শতশত, হাজার হাজার। আটলান্টিক মহাসাগরের এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল তাই বিশ্বের মানুষের কাছে এক আতঙ্ক। এসব দেখে গ্যাড্ডিস অভিমত প্রকাশ করেন, নিশ্চয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকার কোনো একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার ফলে এমনটি ঘটে চলেছে। অবশ্য এ ধরনের ধারণা দেয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রম নন। ১৯৫০ সালে আমেরিকান সাংবাদিক আলেক্সান্ডার জোনস এই এলাকায় রহস্যজনকভাবে এই জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি লেখা লিখেন। তিনি তার লেখায় এই এলাকাকে অভিহিত করেন Sea Devil নামে। তবে বারমুডাট্রায়াঙ্গল নামটি জনপ্রিয়তা পায় ১৯৭৪ সালের দিকে। তখন বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার কাজে লক্ষে চলা ব্যক্তিত্ব চার্লস বারলিটজ একটি বই প্রকাশ করেন। সে বইটির শিরোনামও ছিল সি ডেভিল Sea Devil। এ বইটিতে তিনি হারিয়ে যাওয়া নানা জাহাজের বিবরণ সংগ্রহ করে প্রকাশ করেন। প্রকাশের সাথে সাথে এটি বেস্ট সেল বইয়ের মর্যাদা পায়। আসলে এই বইটির মাধ্যমেই বিশ্ববাসী এই বিপজ্জনক ও রহস্যময় “সি ডেভিল” তথা সমুদ্র-শয়তান সম্পর্কে প্রমবারের মতো স্পষ্ট একটা ধারণা পায়। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞানী গোষ্ঠী উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন, কেন এভাবে রহস্যময় কারণে জাহাজগুলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে এসে হারিয়ে যাচ্ছে? এর পেছনে ব্যাখ্যা কী? কিন্তু সে রহস্য থেকে যায় অনুন্মোচিত। অবসান ঘটেনি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে রহস্য আর আশঙ্কার। কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়েনি তাদের কাছে। ইউএস কোস্টগার্ড প্রকাশ করেছে এই ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট। এসব রিপোর্টে বলা হয়, পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় যে হারে জাহাজ হারিয়ে যাচ্ছে, বারমুডায় তার চেয়ে বেশি হারে জাহাজ হারনোর ঘটনা ঘটছে না। আর এগুলো ঘটছে শুধু ঝড়ের কারণে। বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে পৌঁছার আগে পর্যন্ত কোনো নাবিক এই এলাকাকে রহস্যময় বলে বর্ণনা করেননি, যেখানে বিভিন্ন জাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হচ্ছিল। নব্বইয়ের দশকে এসে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কিত মানুষের আগ্রহ অনেকটাই উবে যায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবার এ এলাকার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কিন্তু তারপরও এ এলাকায় এসে জাহাজ ও বিমান হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটির কোনো সুরাহা হয়নি। সম্প্রতি এটি নিয়ে জীববিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, তাদের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা তথ্য হচ্ছে- এই এলাকার পানির উপরিভাগে প্রচুর পরিমাণে যেসব অণুজীব রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ভাইরাস। আরো মজার ব্যাপার হলো, এসব আণুবীক্ষণিক অণুজীবের গতিবিধি সরাসরি ঋতুর সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমন- গ্রীষ্মকালে এ এলাকার পানির ৬০-১০০ মিটার গভীরতায় যে স্তর রয়েছে, তাতে এই ভাইরাসের সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে যায়। তখন দেখা গেছে, প্রতি ফোঁটা পানিতে সেখানে এক কোটি ভাইরাস কণা থাকে। শীত মওসুমে এরা পানির উপরিতলায় একদম থাকে না বললেই চলে। কারণ, তখন এগুলো এর প্রভুদের অনুসরণ করে আরো গভীরতায় চলে যায়।
বিস্তারিত http://www.pchelplinebd.com/?p=35957
মোবাইল লিংক http://www.pchelplinebd.com/wap/index-wap2.php?p=35957
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন