জার্মান ঔপন্যাসিক এরিক মারিয়া রেমার্কের বিখ্যাত রচনা অল কোয়ায়েট অন দি ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট যারা পড়েছেন তারা জেনেছেন যুদ্ধের ভয়াবহতা। প্রথম মহাযুদ্ধের পটভূমিকায় এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিহত এবং দুই কোটি মানুষ আহত হয়েছিল। এই যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ২৮ জুলাই ১৯১৪-তে।
১৯১৮তে বছরের এগারতম মাসের এগারতম দিনের এগারতম ঘণ্টায় এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষিত হয়েছিল।
এই ঐতিহাসিক ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে, ফ্রান্সে কোমপেইনি-র কাছে রেঠো বনভূমিতে একটি রেলওয়ে কোচে বিজয়ী মিত্রবাহিনীর পক্ষে আর্মিস্টিস (Armistice) বা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন মার্শাল ফার্ডিনান্দ ফক।
আর্মিস্টিস ডে
সেই সময় থেকে ১১ নভেম্বর পরিচিত হয় আর্মিস্টিস ডে, সংক্ষেপে এ-ডে (A day) রূপে। এই দিনটি শান্তি দিবস (Peace Day) নামেও খ্যাত হয়। ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে ১১ নভেম্বর সরকারি ছুটির দিন রূপে ঘোষিত হয়। যুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সারা কনটিনেন্টাল ইওরোপে বছরের এগারতম মাসের এগারতম দিনে সকাল এগারটার সময়ে মানুষ দুই মিনিটের নীরবতা পালন করে। অবশ্য সামপ্রতিক কালে এই নীরবতা পালনের রেওয়াজ কমে এসেছে। যে রেলওয়ে কোচে আর্মিস্টিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেটাকে স্মারক কোচ রূপে সংরক্ষিত করা হয়। এরপর ১৯৩৯-এ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ২২ জুন ১৯৪০-এ ফ্রান্স বাধ্য হয় জার্মানির সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করতে। সেই চুক্তিটিও স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই একই রেলওয়ে কোচে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে এডলফ হিটলার উপসি'ত ছিলেন। ঐতিহাসিক এই রেলওয়ে কোচটি জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যখন জার্মানি পরাজয়ের মুখে চলে যায়, তখন এপৃল ১৯৪৫-এ সেই রেলওয়ে কোচটি ধ্বংস করে দেয় জার্মান সেনাবাহিনী।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হবার পরে বৃটেনে আর্মিস্টিস ডে নতুন নামে, রিমেমব্রান্স সানডে (Remembrance Sunday বা স্মরণের রবিবার) উদযাপিত হবার রীতি চালু হয়। এটি এখন বৃটেনে পালিত হয় ১১ নভেম্বরের সবচেয়ে কাছে যে রবিবার, সেই দিনটিতে। যেমন, এবার রিমেমব্রান্স সানডে পালিত হবে রবিবার ১৩ নভেম্বর সকাল এগারটায়। ওই দিন বৃটেনের রানী, এলিজাবেথ যাবেন, বাকিংহাম প্যালেসের কাছে হোয়াইটহল নামে একটি চওড়া রাস্তার মাঝখানে নির্মিত একটি সেনোটাফ (Cenotaph বা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ)-এ। ওই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে রানী ফুলের মালা রাখবেন। তারপর নীরবতা পালন করবেন। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা-ও এখন রিমেমব্রান্স ডে পালন করছে।
কেউ কেউ বলেন, বৃটেন আর্মিস্টিস ডে থেকে যে সরে এসেছে তার মূল কারণ হলো, ওই দিন তারা ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প বন্ধ রেখে সরকারি ছুটির দিন রূপে ঘোষণা করতে চায়নি। তাই বৃটেন ১১ নভেম্বরের সবচেয়ে কাছের রবিবারে রিমেমব্রান্স সানডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওদিকে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা ১১ নভেম্বর পালন করে ভেটারানস ডে (Veterans Day বা যুদ্ধপ্রবীণ দিবস) রূপে। এই দিনে আমেরিকানরা শ্রদ্ধা জানায় তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সকল প্রবীণ সদস্যের প্রতি।
লক্ষ্যণীয় যে, প্রথম মহাযুদ্ধ শেষ হবার পর ১৯১৯ থেকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ১৯৩৯-এ শুরু হওয়া পর্যন্ত ১১ নভেম্বর আর্মিস্টিস ডে নামে পরিচিত ছিল। এখন সেটা কোনো কোনো দেশে বদলে গিয়েছে। দুই মহাযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সব দেশই ১১ নভেম্বর উপলক্ষে বিশেষ দিবস পালন করছে।
১৯১৮তে বছরের এগারতম মাসের এগারতম দিনের এগারতম ঘণ্টায় এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষিত হয়েছিল।
এই ঐতিহাসিক ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে, ফ্রান্সে কোমপেইনি-র কাছে রেঠো বনভূমিতে একটি রেলওয়ে কোচে বিজয়ী মিত্রবাহিনীর পক্ষে আর্মিস্টিস (Armistice) বা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন মার্শাল ফার্ডিনান্দ ফক।
আর্মিস্টিস ডে
সেই সময় থেকে ১১ নভেম্বর পরিচিত হয় আর্মিস্টিস ডে, সংক্ষেপে এ-ডে (A day) রূপে। এই দিনটি শান্তি দিবস (Peace Day) নামেও খ্যাত হয়। ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে ১১ নভেম্বর সরকারি ছুটির দিন রূপে ঘোষিত হয়। যুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সারা কনটিনেন্টাল ইওরোপে বছরের এগারতম মাসের এগারতম দিনে সকাল এগারটার সময়ে মানুষ দুই মিনিটের নীরবতা পালন করে। অবশ্য সামপ্রতিক কালে এই নীরবতা পালনের রেওয়াজ কমে এসেছে। যে রেলওয়ে কোচে আর্মিস্টিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেটাকে স্মারক কোচ রূপে সংরক্ষিত করা হয়। এরপর ১৯৩৯-এ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ২২ জুন ১৯৪০-এ ফ্রান্স বাধ্য হয় জার্মানির সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করতে। সেই চুক্তিটিও স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই একই রেলওয়ে কোচে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে এডলফ হিটলার উপসি'ত ছিলেন। ঐতিহাসিক এই রেলওয়ে কোচটি জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যখন জার্মানি পরাজয়ের মুখে চলে যায়, তখন এপৃল ১৯৪৫-এ সেই রেলওয়ে কোচটি ধ্বংস করে দেয় জার্মান সেনাবাহিনী।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হবার পরে বৃটেনে আর্মিস্টিস ডে নতুন নামে, রিমেমব্রান্স সানডে (Remembrance Sunday বা স্মরণের রবিবার) উদযাপিত হবার রীতি চালু হয়। এটি এখন বৃটেনে পালিত হয় ১১ নভেম্বরের সবচেয়ে কাছে যে রবিবার, সেই দিনটিতে। যেমন, এবার রিমেমব্রান্স সানডে পালিত হবে রবিবার ১৩ নভেম্বর সকাল এগারটায়। ওই দিন বৃটেনের রানী, এলিজাবেথ যাবেন, বাকিংহাম প্যালেসের কাছে হোয়াইটহল নামে একটি চওড়া রাস্তার মাঝখানে নির্মিত একটি সেনোটাফ (Cenotaph বা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ)-এ। ওই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে রানী ফুলের মালা রাখবেন। তারপর নীরবতা পালন করবেন। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা-ও এখন রিমেমব্রান্স ডে পালন করছে।
কেউ কেউ বলেন, বৃটেন আর্মিস্টিস ডে থেকে যে সরে এসেছে তার মূল কারণ হলো, ওই দিন তারা ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প বন্ধ রেখে সরকারি ছুটির দিন রূপে ঘোষণা করতে চায়নি। তাই বৃটেন ১১ নভেম্বরের সবচেয়ে কাছের রবিবারে রিমেমব্রান্স সানডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওদিকে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা ১১ নভেম্বর পালন করে ভেটারানস ডে (Veterans Day বা যুদ্ধপ্রবীণ দিবস) রূপে। এই দিনে আমেরিকানরা শ্রদ্ধা জানায় তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সকল প্রবীণ সদস্যের প্রতি।
লক্ষ্যণীয় যে, প্রথম মহাযুদ্ধ শেষ হবার পর ১৯১৯ থেকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ১৯৩৯-এ শুরু হওয়া পর্যন্ত ১১ নভেম্বর আর্মিস্টিস ডে নামে পরিচিত ছিল। এখন সেটা কোনো কোনো দেশে বদলে গিয়েছে। দুই মহাযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সব দেশই ১১ নভেম্বর উপলক্ষে বিশেষ দিবস পালন করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন