সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

ইনকাদের হারানো শহর



ইনকাদের হারানো শহর

পেরুর মাচু পিচু হচ্ছে সম্ভবত ইনকা সভ্যতার সবচে পরিচিত নিদর্শন, যাকে ‘ইনকাদের হারানো শহর’ বলা হয়।
মাচু পিচু কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের আগের সময়ের একটি ইনকা শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ২৪০০ মিটার বা ৭,৮৭৫ ফুট। এটি পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকার একটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত। ১৪৫০ সালের দিকে শহরটি নির্মিত হয়। তবে এর একশ বছর পর এটি পরিত্যাক্ত হয়, যখন ইনকা সভ্যতা স্পেনের হাতে আক্রান্ত হয়।

বহুদিন অজ্ঞাত থাকার পর হাইরাম বিংহাম নামের একজন মার্কিন ঐতিহাসিক ১৯১১ সালে এটিকে আবার বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। ১৯৮১ সালে একে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে একে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মাচু পিচু বর্তমান নতুন সপ্তাশ্চর্যেরও একটি।

ভালোবাসার রাজকীয় স্মারক


ভালোবাসার রাজকীয় ও অপূর্ব স্থাপত্য-স্মারক হিসেবে গৌরবান্বিত ভারতের তাজমহল। মোগল সম্রাট শাহজাহান তাঁর পত্নী আরজুমান্দ বানু বেগমের (মমতাজ মহল নামে পরিচিত) স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে তাজমহলের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে, শেষ হয়েছিল ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে।

তাজমহল লম্বায় ৫৫ মিটার। এর ভিত্তি আর সমাধি নির্মাণ করতে প্রায় ১২ বছর সময় লেগেছিল। পুরো তাজমহলের বাকি অংশগুলো নির্মাণ করতে লেগেছিল আরও ১০ বছর।

তাজমহল তৈরি হয়েছে পুরো এশিয়া আর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা বহু ধরনের উপাদান দিয়ে। এর নির্মাণসামগ্রী বহন করে আনার জন্য এক হাজারের বেশি হাতি ব্যবহার করা হয়েছিল।

তাজমহলের অঙ্গসজ্জার জন্য আলোপ্রবাহী অস্বচ্ছ সাদা মার্বেল পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে। লাল, হলুদ বা বাদামি রঙের মধ্যম মানের পাথর আনা হয়েছেল পাঞ্জাব থেকে। চীন থেকে আনা হয়েছিল কঠিন, সাদা, সবুজ পাথর ও স্ফটিক টুকরা। তিব্বত থেকে বৈদূর্য, ফিরোজা রঙের রত্ন এবং আফগানিস্তান থেকে নীলকান্তমণি। নীলমণি- উজ্জ্বল নীল রত্ন এসেছিল শ্রীলঙ্কা এবং রক্তিমাভাব, খয়েরি বা সাদা রঙের মূল্যবান পাথর এসেছিল আরব থেকে। এ আটাশ ধরনের মহামূল্যবান পাথর সাদা মার্বেল পাথরের ওপর বসানো রয়েছে।

তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন আনুমানিক ৩২ মিলিয়ন রুপি খরচ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকের খরচ, নির্মাণের সময় এবং ভিন্ন অর্থনৈতিক যুগের কারণে এর মূল্য এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। তাই একে অমূল্য বলা হয়। তাজমহলও বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি