সুরক্ষিত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত দুর্গনগরী
জর্ডানের পেত্রা নগরী একটি প্রাচীন আরব শহর। পেত্রা নগরী ছিল মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ। আর এটি বিখ্যাত ছিল এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর কারেণ।
বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা ওয়াদি মুসার ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত। ৪০০ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। এটি তৈরি গুহার অভ্যন্তরে, যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া আর মাথার ওপর পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই কঠিন পাথুরে দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই সব প্রাচীন দালান, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। এই মন্দিরটি ফারাওদের ধনভান্ডার নামেও পরিচিত। এছাড়া আছে অর্ধগোলাকৃতি একটি নাট্যশালা, যেখানে প্রায় ৩ হাজার দর্শক একসাথে বসতে পারে।
পেত্রা ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নগরী । এর চারধারে ছিল উঁচু পাহাড় আর একটি ঝরনাধারা।
গাজা, বসরা ও দামাস্কাস, লোহিত সাগরের পাশের আকুয়াবা ও লিউস এবং মরুভূমি দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার সব প্রধান বাণিজ্যপথগুলো নিয়ন্ত্রণ করত এই নগরী।
বহু বহু বছর অজানা থাকার পর এই প্রাচীন নগরীটিকে ১৮১২ সালে পৃথিবীর কাছে উন্মোচন করেন সুইস পরিব্রাজক জোহান লুদভিগ বুর্খার্দত। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো একে ‘বৈশ্বিক ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে ।
সম্পদ, সংস্কৃতি আর ক্ষমতায় এককালে পেত্রা যে কত সমৃদ্ধ ছিল তা এর ধ্বংসাবশেষ থেকেই টের পাওয়া যায়।
জর্ডানের পেত্রা নগরী একটি প্রাচীন আরব শহর। পেত্রা নগরী ছিল মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ। আর এটি বিখ্যাত ছিল এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর কারেণ।
বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা ওয়াদি মুসার ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত। ৪০০ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। এটি তৈরি গুহার অভ্যন্তরে, যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া আর মাথার ওপর পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই কঠিন পাথুরে দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই সব প্রাচীন দালান, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। এই মন্দিরটি ফারাওদের ধনভান্ডার নামেও পরিচিত। এছাড়া আছে অর্ধগোলাকৃতি একটি নাট্যশালা, যেখানে প্রায় ৩ হাজার দর্শক একসাথে বসতে পারে।
পেত্রা ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নগরী । এর চারধারে ছিল উঁচু পাহাড় আর একটি ঝরনাধারা।
গাজা, বসরা ও দামাস্কাস, লোহিত সাগরের পাশের আকুয়াবা ও লিউস এবং মরুভূমি দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার সব প্রধান বাণিজ্যপথগুলো নিয়ন্ত্রণ করত এই নগরী।
বহু বহু বছর অজানা থাকার পর এই প্রাচীন নগরীটিকে ১৮১২ সালে পৃথিবীর কাছে উন্মোচন করেন সুইস পরিব্রাজক জোহান লুদভিগ বুর্খার্দত। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো একে ‘বৈশ্বিক ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে ।
সম্পদ, সংস্কৃতি আর ক্ষমতায় এককালে পেত্রা যে কত সমৃদ্ধ ছিল তা এর ধ্বংসাবশেষ থেকেই টের পাওয়া যায়।