মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

হৃদরোগ

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট মৃত্যুর ২৯ শতাংশ হচ্ছে হার্টঅ্যাটাকে। ব্রিটিশ কার্ডিয়াক সোসাইটির মুখপত্র 'হার্ট'-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের মোট হৃদরোগীর ৬০ ভাগই ভারত উপমহাদেশের। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপদ্ধতি বদলেও হৃদরোগ থেকে স্থায়ী মুক্তি সম্ভব। যদিও চিকিৎসকদের কেউ কেউ লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে বিনা অপারেশনে হৃদরোগ মুক্তির বিষয়টিকে মেনে নিতে চান না। হার্টের চিকিৎসার পুরনো ধারণা ও পদ্ধতিরও স্থান দখল করে নিচ্ছে আধুনিকতম ধারণা এবং পদ্ধতি। এই ধারাবাহিকতায় হৃদরোগ চিকিৎসার একটি আধুনিক পদ্ধতি পদ্ধতি হচ্ছে EECP বা নেচারাল বাইপাস। EECP/BCA সার্বিক (Systemic) চিকিৎসা কোনো বিশেষ স্থানের নয়, সমস্ত শরীরের যেখানে যেখানে ব্লক সেখানে সেখানে কাজ করে। বাংলাদেশে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, সাওল হার্ট সেন্টার, দি মেডিক্যাল সেন্টার, হলিস্টিক হেলথ্্ কেয়ার সেন্টার, মেডিকেয়ারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে EECP পদ্ধতিতে হৃদরোগের চিকিৎসা হচ্ছে। হৃদরোগীদের সুস্থ হওয়ার মূলে রয়েছে_ জীবনপদ্ধতি বদলে নেয়া, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও শারীরিক পরিশ্রম করা। সাওল সেটা বাস্তবে প্রয়োগ করায়। প্রয়োজন হচ্ছে মানুষকে রোগ এবং রোগ থেকে সুস্থ থাকার জ্ঞান দেওয়া ও সচেতন করে তোলা। যারা বলছেন, 'বাইপাস অথবা স্ট্যান্টিংয়ের কোনো বিকল্প নেই' তাদের সামনে আমরা কয়েক হাজার রোগী উপস্থিত করতে পারব যারা অপারেশন ছাড়াই, স্ট্যান্টিং না করেই, ইইসিপি, বায়োকেমিক্যাল এনজিওপ্লাস্টি চিকিৎসার সঙ্গে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। 'বাইপাস অথবা স্ট্যান্টিংয়ের বিকল্প নেই' এর বিপক্ষে ইতোমধ্যে ডা. ছাজেড় বাংলাদেশের প্রখ্যাত কয়েকজন কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছেন। দর্শক-শ্রোতা অধিকাংশই ডা. ছাজেড়ের পক্ষে গেছেন। সাওলের প্রতিটি ক্যাম্পে শত শত মানুষের অংশগ্রহণ এবং সাওলপদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশেও কয়েক হাজার হৃদরোগী সুস্থ হয়ে ওঠা-ই তা প্রমাণ করে লাইফ স্টাইল বদলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হৃদরোগ থেকে সুস্থতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন_ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পপতি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন