মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১১

remix

টেলিফোনের আবিষ্কর্তা আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যখন তার গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধানে মগ্ন থাকতেন, তখন তিনি একটি তোয়ালে দিয়ে তার টেলিফোনটি জড়িয়ে রাখতেন। এরূপ করার কারণ ছিল টেলিফোনটি তার কাজে যাতে গোলমাল সৃষ্টি না করে।

*কুম্ভীরাশ্রু মানে কপট শোক। কোনো কোনো দেশে প্রবাদ আছে, কুমির শিকারকে খাওয়ার সময় চোখের জল ফেলতে থাকে, তা থেকেই 'কুম্ভীরাশ্রু' কথাটার উৎপত্তি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, কুমিরের কোনো অশ্রুনালী নেই সে জন্য তারা কাঁদতে পারে না। কিন্তু তারা যখন খুব বড় কোনো শিকারকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের চোখ দিয়ে একপ্রকার জলের মতো তরল পদার্থ বের হয়।

*বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের চোখের পেশিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল। পেশিগুলো মাত্র একদিন পড়ার কাজে চোখকে গড়পড়তা এক লাখ বারেরও বেশি নাড়ায়। প্রয়োজনের তুলনায় চোখের পেশিগুলি প্রায় একশ গুণ বেশি শক্তিশালী।

*মিসরের মেমফিসের অন্তর্গত ধাপকাটা জোসার পিরামিড প্রায় ৫,০০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। পৃথিবীর মধ্যে এটাই সবচেয়ে পুরনো সৌধ।

*গ্রীষ্মকালে বাতাসে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুকণা ভেসে বেড়ায়। এগুলো এতই ক্ষুদ্র যে, খালি চোখে দেখা যায় না। এই বস্তুকণাগুলোর অধিকাংশই হচ্ছে উদ্ভিদের পরাগরেণু। এর মধ্যে কতকগুলো বস্তুকণা অনেকের শরীরে নানারকম ব্যাধির সৃষ্টি করে। তবে একদিক থেকে এগুলো জীবন-প্রবাহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্রস্বরূপ। পরাগ-নিষেক ক্রিয়ার দ্বারাই নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়। পরাগ-রেণুর সাহায্য না পেলে সপুষ্পক উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।

*কয়ার ফড়িং বা পঙ্গপালের লাফিয়ে চলার ক্ষমতা অসাধারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এরা যে পেশির সাহায্যে প্রচণ্ড গতিতে লাফায় তার ক্ষমতা মানুষ যে সব পেশির সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি কাজকর্ম করে তার তুলনায় প্রায় দশ গুণ বেশি। ঝিনুক জাতীয় প্রাণী ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণীর পেশির এরূপ ক্ষমতা নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন