'হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে...' হ্যাঁ, জোরে কণ্ঠ ছাড়তে ছাড়তে এক সময় ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে, ভেঙে যেতে পারে কণ্ঠস্বর। কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়া কোনো কাক্সিক্ষত বিষয় নয়। কণ্ঠস্বর বিকৃতি কিংবা নষ্ট হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। মূলত স্বরধ্বনি শ্বাসযন্ত্রের যে অংশ থেকে তৈরি হয় সেখানকার বিভিন্ন অসুখের সূচনাতেই স্বরভঙ্গ ঘটে কিংবা কণ্ঠস্বর ভেঙে যায়। সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা বেশি কথা বললে যেমন গলা বসে যায়, তেমনি ল্যারিংস বা শ্বাসনালীর সবচেয়ে উপরের অংশে ক্যান্সারের সূচনাতেও গলার স্বর পরিবর্তিত হয়।
কণ্ঠস্বরজনিত সমস্যা মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যার সূচনাস্থল হলো ভোকাল কর্ডের প্রকম্পিত প্রান্তদেশ। বিশেষ করে ভোকাল কর্ডের আবরণী ঝিলির আঘাতজনিত প্রদাহই বেশি হয়ে থাকে। ভোকাল কর্ড পরস্পর প্রতি সেকেন্ডের বিপুল ঘর্ষণে জর্জরিত হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ভোকাল কর্ডের ঝিলি্লর এই আঘাতের ফলাফলকে ত্বকের ফোস্কা কিংবা গোটার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এগুলো ক্যান্সার জাতীয় কোনো সমস্যা নয়, ক্ষতিকর নয় এমন ধরনের সমস্যা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যেতে পারে_ বেনাইন মিউকোসাল ডিসঅর্ডার বা ঝিলি্লর নির্দোষ ধরনের অস্বাভাবিকতা। এ ধরনের সমস্যা যেহেতু ক্যান্সার নয়, তাই মন্দের ভালো বলা যায়। সাধারণভাবে বলতে গেলে এ ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে ভোকাল কর্ড নোডিউল, সিঙ্গারস নোডিউল (সংগীতশিল্পীদের নোডিউল), ভোকাল কর্ড পলিপ। সাধারণত ভোকাল কর্ডের পরিবর্তন সেরে ওঠার পর বার বার হতে থাকলে কর্ডের গঠনে স্থায়ী পরিবর্তন দেখা দেয়।
এসব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে_ * ভোকাল কর্ডের নডিউল বা দানা। * ভোকাল কর্ডে পলিপ বা ছোট্ট থলির মতো পিণ্ড * ভোকাল কর্ডে সিস্ট বা পািন ভর্তি ছোট থলির সৃষ্টি হওয়া। * ভোকাল কর্ড শক্ত হয়ে যাওয়া।
ভোকাল কর্ডের সমস্যা নির্ণয়ে করণীয় : ভোকাল কর্ডের সমস্যা একটি কিংবা উভয় ভোকাল কর্ডে হতে পারে। স্বর সৃষ্টির সময় ভোকাল কর্ডের যে অংশ সবচেয়ে বেশি পরস্পরের সংস্পর্শে আসে সেই স্থানটিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভোকাল কর্ড সরল রেখায় অবস্থান করে না, কিছুটা বাঁকা হয়ে থাকে। তাই স্বরের মাত্রা অনুযায়ী এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একইভাবে অবস্থারও উন্নতি ঘটে। ভোকাল কর্ডের সমস্যা নির্ণয়ে রোগীর ইতিহাস নিয়ে ভোকাল কর্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতিকার
কথা বলা সম্পূর্ণ বন্ধ : চিকিৎসা শুরু হবে সমস্যা অনুযায়ী। গলার স্বর ভেঙে গেলে প্রথমেই কথা বলা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। কথা বলা বন্ধ করার মাধ্যমেই দুই ভোকাল কর্ডের মধ্যকার ঘর্ষণ এড়ানো সম্ভব হবে। এ সময়ে লিখে লিখে কিংবা ইশারায় কথার কাজটি সারতে হবে। রোগীকে এ সময় কলিংবেল ব্যবহার করতে হবে কাউকে ডাকার জন্য। অন্তত এক সপ্তাহ সম্পূর্ণভাবে কথা বন্ধ রাখতে হবে।
ঊর্ধ্বশ্বাসনালীর সংক্রমণ : যেহেতু ঊর্ধ্বশ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে অনেক সময় গলা ভেঙে যায়, এ কারণে যথাযথ এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে চিকিৎসা করতে হবে। সেই সঙ্গে এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধও গ্রহণ করতে হবে।
শ্বাসনালীতে বাষ্প প্রবাহ : স্বরনালী তথা ভোকাল কর্ডকে বাষ্পস্নাত করতে বাষ্প প্রবাহ শ্বাসের সঙ্গে টানা যেতে পারে। এতে ভোকাল কর্ডের শুষ্কতা দূর হয়ে ভোকাল কর্ড কিছুটা আর্দ্রতা পাবে। একটি বাটিতে এক লিটার গরম পানি নিয়ে সেই পানিতে এক চিমটি ম্যানথলের দানা দিয়ে তারপর বাষ্পটুকু শ্বাসের সঙ্গে নিতে হবে।
গলার স্বরভাঙাকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কণ্ঠস্বরজনিত সমস্যা মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যার সূচনাস্থল হলো ভোকাল কর্ডের প্রকম্পিত প্রান্তদেশ। বিশেষ করে ভোকাল কর্ডের আবরণী ঝিলির আঘাতজনিত প্রদাহই বেশি হয়ে থাকে। ভোকাল কর্ড পরস্পর প্রতি সেকেন্ডের বিপুল ঘর্ষণে জর্জরিত হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ভোকাল কর্ডের ঝিলি্লর এই আঘাতের ফলাফলকে ত্বকের ফোস্কা কিংবা গোটার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এগুলো ক্যান্সার জাতীয় কোনো সমস্যা নয়, ক্ষতিকর নয় এমন ধরনের সমস্যা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যেতে পারে_ বেনাইন মিউকোসাল ডিসঅর্ডার বা ঝিলি্লর নির্দোষ ধরনের অস্বাভাবিকতা। এ ধরনের সমস্যা যেহেতু ক্যান্সার নয়, তাই মন্দের ভালো বলা যায়। সাধারণভাবে বলতে গেলে এ ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে ভোকাল কর্ড নোডিউল, সিঙ্গারস নোডিউল (সংগীতশিল্পীদের নোডিউল), ভোকাল কর্ড পলিপ। সাধারণত ভোকাল কর্ডের পরিবর্তন সেরে ওঠার পর বার বার হতে থাকলে কর্ডের গঠনে স্থায়ী পরিবর্তন দেখা দেয়।
এসব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে_ * ভোকাল কর্ডের নডিউল বা দানা। * ভোকাল কর্ডে পলিপ বা ছোট্ট থলির মতো পিণ্ড * ভোকাল কর্ডে সিস্ট বা পািন ভর্তি ছোট থলির সৃষ্টি হওয়া। * ভোকাল কর্ড শক্ত হয়ে যাওয়া।
ভোকাল কর্ডের সমস্যা নির্ণয়ে করণীয় : ভোকাল কর্ডের সমস্যা একটি কিংবা উভয় ভোকাল কর্ডে হতে পারে। স্বর সৃষ্টির সময় ভোকাল কর্ডের যে অংশ সবচেয়ে বেশি পরস্পরের সংস্পর্শে আসে সেই স্থানটিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভোকাল কর্ড সরল রেখায় অবস্থান করে না, কিছুটা বাঁকা হয়ে থাকে। তাই স্বরের মাত্রা অনুযায়ী এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একইভাবে অবস্থারও উন্নতি ঘটে। ভোকাল কর্ডের সমস্যা নির্ণয়ে রোগীর ইতিহাস নিয়ে ভোকাল কর্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতিকার
কথা বলা সম্পূর্ণ বন্ধ : চিকিৎসা শুরু হবে সমস্যা অনুযায়ী। গলার স্বর ভেঙে গেলে প্রথমেই কথা বলা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। কথা বলা বন্ধ করার মাধ্যমেই দুই ভোকাল কর্ডের মধ্যকার ঘর্ষণ এড়ানো সম্ভব হবে। এ সময়ে লিখে লিখে কিংবা ইশারায় কথার কাজটি সারতে হবে। রোগীকে এ সময় কলিংবেল ব্যবহার করতে হবে কাউকে ডাকার জন্য। অন্তত এক সপ্তাহ সম্পূর্ণভাবে কথা বন্ধ রাখতে হবে।
ঊর্ধ্বশ্বাসনালীর সংক্রমণ : যেহেতু ঊর্ধ্বশ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে অনেক সময় গলা ভেঙে যায়, এ কারণে যথাযথ এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে চিকিৎসা করতে হবে। সেই সঙ্গে এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধও গ্রহণ করতে হবে।
শ্বাসনালীতে বাষ্প প্রবাহ : স্বরনালী তথা ভোকাল কর্ডকে বাষ্পস্নাত করতে বাষ্প প্রবাহ শ্বাসের সঙ্গে টানা যেতে পারে। এতে ভোকাল কর্ডের শুষ্কতা দূর হয়ে ভোকাল কর্ড কিছুটা আর্দ্রতা পাবে। একটি বাটিতে এক লিটার গরম পানি নিয়ে সেই পানিতে এক চিমটি ম্যানথলের দানা দিয়ে তারপর বাষ্পটুকু শ্বাসের সঙ্গে নিতে হবে।
গলার স্বরভাঙাকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন